ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার মাছিহাতা মডেল ইউনিয়ের চান্দপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত হান্নান ঠাকুরের ছেলে মো. মনির ঠাকুর। ছোট বেলা থেকেই বাবার সংস্পর্শে থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামীগের প্রতি ভালবাসা তার। শিক্ষাজীবনে ঢাকায় জড়িত ছিলেন আওয়ামীলীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। পাশাপাশি এলাকায়ও ছাত্রলীগের পতাকাতলে সংগঠিত করেছেন যুবকদের। ছোটবেলা থেকেই সাধারণ মানুষের বিপদে পাশে থাকাটা যেনো তার লালিত স্বপ্ন ছিলো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দীক্ষিত এই সৈনিক যখন পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্ররাজনীতিতে যুক্ত হোন তখন থেকেই পাশে থেকেছেন সাধারণ মানুষের, রাজপথে নেমেছেন দুর্নীতির ‘কালো হাত ভেঙে দিতে’।
ছাত্রজীবন শেষে মনির ঠাকুর ঢাকায় গার্মেন্টস্ ব্যবসায়ের পাশাপাশি এলাকায় আওয়ামী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন। সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল আন্দোলন সংগ্রামে মাছিহাতা ইউনিয়নে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত হয়ে প্রতিনিয়ত মানবসেবা করে যাচ্ছেন।
সরেজমিন পরিদর্শনে মাছিহাতা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে তাদের মুখে মনির ঠাকুরের প্রতি তাদের আস্থা ও ভালবাসার কথাই শোনা যায়। তারা নি:স্বার্থ পরোপকারী মনির ঠাকুরকে আগামীতে এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চান।
স্থানীয় বাসিন্দা ষাটোর্ধ চাঁন মিয়া বলেন , “মনির ঠাকুর একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। এলাকার যে কোন মানুষের বিপদে আপদে, এতিম অসহায় দরিদ্রদের সেবায় সবার আগে মনির ঠাকুর এগিয়ে আসে। তার মতো এমন মন মানসিকতার ছেলে অত্র মাছিহাতা ইউনিয়নে খুঁজে পাবেন না। ”
মাছিহাতা ইউনিয়নের বাসিন্দা আরিফ চৌধুরী বলেন, ” মাছিহাতা ইউনিয়ন এর উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের বিপদের সময়ের বন্ধু হিসেবে মনির ঠাকুরকে আমরা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।”
করোনা মহামারীতে দুই দফা লকডাউনে জনজীবন যখন বিপন্ন তখন নিজ অর্থায়নে প্রায় ১৬০০ মানুষকে সহযোগিতা করেছেন মনির ঠাকুর। এখনো প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের সেবা সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। অল্প বয়সেই মনির ঠাকুর তার অমায়িক ব্যবহার, পরোপকার ও জনসেবার কারনে এলাকার সাধারণ মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন।
বিপুল জনপ্রিয়তা ও সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর আস্থাভাজন হওয়ায় অনেকের চক্ষুশূল হয়েছেন। একাধিকবার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন মনির।
এতো বিপুল জনপ্রিয়তা আপনার, ভবিষ্যৎ নিয়ে কি পরিকল্পনা করছেন জানতে চাইলে মনির ঠাকুর বলেন,” ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনি কিছু বলতে চাই না। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আমার রাজনৈতিক অভিবাবক জননেতা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নির্দেশনা অনুযায়ী সারা জীবন সাধারণ মানুষের সেবা করতে চাই, তাদের ভালবাসা চাই, দোয়া চাই। “