ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হকসহ (৩৫) দুইজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের নাটঘর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত অপর যুবকের নাম বাদল সরকার (২৩)। তিনি ওই ইউনিয়নের নান্দুরা গ্রামের সন্তোষ সরকারের ছেলে।
এরশাদুল হক উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছেলে এবং আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম প্রায় সময় অসুস্থ থাকেন।
তাই ইউপি নির্বাচনে আবুল কাশেমের স্থলে তার ছেলে এরশাদুল হক এবার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শুক্রবার রাতে ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামের বাজার এলাকায় ওয়াজ মাহফিল চলছিল।
এরশাদ ও বাদলসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে করে সেই মাহফিলে যান। ওয়াজ মাহফিলে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে উপস্থিত সবার কাছে দোয়া চান এরশাদ। রাত ১০টার দিকে সেখান থেকে ফিরছিলেন তারা। এসময় মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন বাদল এবং তার পেছনে বসা ছিলেন এরশাদ।
পথে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়লে সামনে চালকের আসনে বসা বাদল প্রথমে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় এরশাদকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত এরশাদকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠান। তবে ঢাকায় পৌঁছানোর আগেই রাস্তায় এরশাদুলের মৃত্যু হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, দুর্বৃত্তদের গুলিতে বাদল ও এরশাদ নামে দুইজন নিহত হয়েছেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসল খুনিদের আটক করতে চেষ্টা চলছে। এখন পর্যন্ত সোহাগ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তদন্তের সার্থে গ্রেপ্তারকৃত সোহাগের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেয়া যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।